মজাদার ও পুষ্টিকর ফল কুল
বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফল হচ্ছে কুল। এটা হালকা টক মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। শীত থেকে গরমের শুরু অবধি সময়টা দেশি ফলের অভাব মেটায় প্রধাণত দেশি টক কুল।
বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় সব ধরনের মাটিতে কুল জন্মে। কুল শুকিয়ে অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়।
কাঁচা ও শুকনো কুল দিয়ে চমৎকার চাটনি ও আচার তৈরি করা যায়।
পুষ্টিগুণের জন্য কুল তো খাবেনই, আরও একটা কারণে কুল খেতে পারেন। তা হলো এটি দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের পুষ্টিবিদ হাসিনা আকতারের তথ্য অনুযায়ী প্রতি ১০০ গ্রাম কুলে রয়েছে –
খাদ্যশক্তি ৭৯ কিলোক্যালরি, শর্করা ২০.২৩ গ্রাম, আমিষ ১.২ গ্রাম, জলীয় অংশ ৭৭.৮৬ গ্রাম, ভিটামিন এ ৪০ আইইএ, থায়ামিন ০.০২ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লোবিন ০.০৪ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ০.৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ ০.০৮১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৬৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২১ মিলিগ্রাম, লোহা ০.৪৮ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, ম্যাংগানিজ ০.০৮৪ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ২৫০ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৩ মিলিগ্রাম, জিংক ০.০৫ মিলিগ্রাম।
এখন আসুন জেনে নেওয়া যাক কুলের উপকারিতা সম্পর্কে-
ইনফেকশন জনিত রোগ সারায়ঃ
কুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এর ভিটামিন সি ইনফেকশনজনিত রোগ যেমন টনসিলাইটিস, ঠোটের কোণে ঘা, জিহ্বাতে ঘা, ঠোটের চামড়া উঠে যাওয়া ইত্যাদি দূর করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ
কুলের রসকে অ্যান্টি ক্যান্সার হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ফলের রয়েছে ক্যান্সার কোষ, টিউমার কোষ ও লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ ক্ষমতা।
যকৃতের রোগ প্রতিরোধেঃ
যকৃতের নানা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে বরই। এই ফল যকৃতের কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
রক্ত বিশুদ্ধকারকঃ
বরই অত্যন্ত চমৎকার একটি রক্ত বিশুদ্ধকারক। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য বরই খুবই উপকারি ফল।
ডায়রিয়া, ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া , রক্তশূন্যতা , ব্রাঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগ খুব দ্রুত সারিয়ে তোলে এই ফল।
মেীসুমি জ্বর , সর্দি কাশি ও প্রতিরোধ করে বরই। এছাড়া হজম শক্তি বৃদ্ধি ও খাবারে রুচি বাড়িয়ে তোলে এ ফল।
Leave a Reply