কাকমাচী এক থেকে তিন ফুট পর্যন্ত উচ্চতার এ গাছটি পতিত জায়গায়, রাস্তার পাশে অযত্নেই হয়ে থাকে। পাতা সরল, একান্তর ও কোমল। পাতার বর্ণ কালচে সবুজ। ফল তিত বেগুনের মত, তবে অপেক্ষাকৃত ছোট। ফুল সাদা। কাঁচা ফল সবুজ, পাকলে কাল বা হলুদাভ হয়। স্বাদে কাঁচা ফল তিক্ত, পাকা ফল মিষ্ট।মাটিতে পড়ে থাকা বীজ থেকে গীষ্ম ও বর্ষায় প্রচুর পরিমানে জন্মে থাকে। বীজ ছিটিয়েও চাষ করা যায়। এপ্রিল-মে মাসে বীজ বুনতে হয়। বোনার ২০-৩০ দিন পর চারা স্থানান্তর করা যায়।
রাসায়নিক উপাদান :
পাতায় প্রচুর পরিমাণ রাইবোফ্ল্যাভিন, নিকোটিনিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, ভিটামিন সি, বিটা-কেরোটিন, প্রোটিন এবং বিভিন্ন স্টেরয়ডীয় গ্লাইকোসাইড বিদ্যমান।
গুণাগুণ ও উপকারিতা
যকৃতে প্রদাহ :
এই সমস্যা দেখা দিলে প্রথমে কাকমাচী এর পাতা নিতে হবে । এবার এর থেকে কমপক্ষে ৫০-৬০ মিলি রস বের করে নিতে হবে । রস জ্বাল দিয়ে সকাল ও সন্ধ্যায় খালি পেটে খেতে হবে । তাহলে যকৃতে প্রদাহ কমে যাবে ।
জন্ডিসের সমস্যা :
জন্ডিসের সমস্যা হলে কাকমাচী এর পাতার রস সংগ্রহ করে নিতে হবে । রস কমপক্ষে ৬০-৭০ মিলি নিতে হবে । এটি প্রত্যেকদিন দুই বার সেবন করলে এই সমস্যার সমাধান হবে ।
শোথের সমস্যায় :
গোটা উদ্ভিদের রস করে নিতে হবে । রসের পরিমাণ কমপক্ষে ৫০-৬০ মিলি নিতে হবে । এরপর এটিকে গরম করে সকাল বিকাল সেব্ণ করে নিতে হবে ।
কুচো ক্রিমি :
যাকে আমরা চলতি কথায় কুচো ক্রিমি বলে থাকি , এই ক্ষেত্রে স্বাদু কাকমাচী পাতার রস ১৫ ফোঁটা তা যদি বালক হয় ও সাত ও আট চামচ দুধ মিশিয়ে খেতে হবে । তবে রসটা গরম করে ছেঁকে নিতে হবে ।
ঘামাচি হলে :
কুনো ব্যাঙের মতো শরীরে চাপড়া ঘামাচি হয়েছে সেক্ষেত্রে এই কাকমাচী পাতা বাটা হলুদের মতো গায়ে মাখলে ওটা সেরে যাবে ।
অরুচি :
স্বাদু কাকমাচীর পাতা অল্প সিদ্ধ করে , জল ফেলে দিয়ে সেই শাক ঘি দিয়ে সাতলে শাকের মতো প্রথমে ভাতের সাথে খেলে অরুচি সেরে যাবে ।
Leave a Reply